দরকার হলে বাড়ি ফিরে যাব বললেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনতে তৃতীয়বারের মতো হাইকোর্ট অপারগতা প্রকাশ করায় বিস্মিত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর আগে সকালে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট শুনতে তৃতীয়বারের মতো এ অপরাগতা প্রকাশ করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
পরে ‘বিষণ্ণ মন নিয়ে’ নিজের ভেরিফাইট ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একজন বিচারপতির ছেলে এমসিকিউ পরীক্ষায় দুইবার ফেল করার পরও বার কাউন্সিল দ্বারা তাকে সরাসরি হাইকোর্টের মেম্বার ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলা নিয়ে আমরা প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমার মতো একজন ভদ্রলোক বাদি হওয়ার পরও শুধুমাত্র অভিযোগে একজন বিচারপতির ছেলের নাম থাকার কারণে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে এ পর্যন্ত ছয়জন বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছেন। বলেছেন তারা এটা শুনতে পারবেন না।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আগে বিচার তো শুনবেন! পরে বিচার যদি না করেন নাই, আমাদের বিদায় করে দেন, রিজেক্ট করে দেন। কিন্তু একজন বিচারপতির ছেলের নাম থাকার কারণে অভিযোগ শুনতেই পারবেন না, এর চেয়ে দুঃখ আমি মনে করি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য আর কিছু হতে পারে না।
একজন বিচারপতির ছেলে হওয়ার কারণে এই ধরণের সুবিধা পাইতে পারেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে মনে হচ্ছে যে, বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে সরাসরি তার বাসায় গিয়ে বিচার দিতাম, নিশ্চয়ই এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু চাননি। এখন আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান বিচারপতির কাছে যাব। তাদের কাছে এই বিচার দিতে চাই।
Comments (0)